শনিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০১৫

জাতীয় পরিচয়পত্রের ১৩ সংখ্যার মানে কি? আসুন জানি এই গোপন সংকেত


আমাদের অনেকের ই জাতীয় পরিচয় পত্র আছে। এটাকে ভোটার আইডি কার্ড হিসাবে অনেকে জানেন যেটা সম্পুর্ণ ভুল। এটা ন্যাশনাল আইডি কার্ড বা জাতীয় পরিচয় পত্র।আপনারা দেখবেন এটার নীচে লাল কালি দিয়ে লেখা ১৩ সংখ্যার একটা নম্বর আছে যাকে আমরা আইডি নম্বর হিসাবে জানি কিন্তু এই ১৩ সংখ্যার মানে কি?
1. প্রথম ২টি সংখ্যা - জেলা কোড। ৬৪ জেলার আলাদা আলাদা কোড আছে। ঢাকার জন্য এই কোড ২৬।
2. পরবর্তী ১টি সংখ্যা – এটা আর এম ও (RMO) কোড।
• সিটি কর্পোরেশনের জন্য – ৯
• ক্যান্টনমেন্ট – ৫
• পৌরসভা – ২
• পল্লী এলাকা – ১
• পৌরসভার বাইরে শহর এলাকা -৩
• অন্যান্য – ৪
3. পরবর্তী ২টি সংখ্যা -এটা উপজেলা বা থানা কোড
4. পরবর্তী ২টি সংখ্যা – এটা ইউনিয়ন (পল্লীর জন্য) বা ওয়ার্ড কোড (পৌরসভা বা সিটি কর্পোরেশনের জন্য)
5. শেষ ৬ টি সংখ্যা - আই ডি কার্ড করার সময় আপনি যে ফর্ম পূরণ করেছিলেন এটা সেই ফর্ম নম্বর।
বর্তমানে আবার ১৭ ডিজিট ওয়ালা আইডি কার্ড দেয়া হচ্ছে যার প্রথম ৪ ডিজিট হচ্ছে জন্মসাল

ঘরে বসে অনলাইনে জাতীয় পরিচয় পত্র/এন আইডি কার্ডের জন্য নিবন্ধন করুন, এবং জাতীয় পরিচয় পত্রের ভূল তথ্য সংশোধন করুন খুব সহজে


কয়েক দিন আগেও ভোটার আবেদন বা জাতীয় পরিচয়পত্রে তথ্য সংশোধন ছিল অতি ঝামেলার। জাতীয় পরিচয়পত্রে নিজের ছবি নিয়েও অভিযোগের অন্ত ছিল না। এখন এসব কাজ করা যাবে ঘরে বসেই। অনলাইনে ভোটার হওয়া ও জাতীয় পরিচয়পত্রের আবেদন করা। একই সঙ্গে হারিয়ে গেলে পুনর্মুদ্রণ, কোনো তথ্য সংশোধনের আবেদনও করা।

মাউসের নাগালে যা যা
* তথ্য সংশোধন ও হালনাগাদ
* ঠিকানা পরিবর্তন
* ভোটার এলাকা স্থানান্তর
* পুনর্মুদ্রণ
* ছবি পরিবর্তন
* ডাটাবেইসে নিজের তথ্য দেখা
* আবেদনপত্রের হাল অবস্থা জানা
যা করতে হবে
নিবন্ধনের জন্য যেতে হবে নির্বাচন কমিশন অফিসের নিচের ওয়েবলিংকে https://services.nidw.gov.bd/registration 
এরপর ক্লিক করতে হবে ‘রেজিস্ট্রেশন ফরম পূরণ করতে চাই’ অংশে। এই সাইট https ফরম্যাটে হওয়ায় আপনার ফায়ারফক্স ব্রাউজার হলে লেখা আসতে পারে This Connection is Untrusted. এ ক্ষেত্রে সমাধান হলো প্রথমে ‘I Understand the Risks’-এ ক্লিক করুন। এরপর On the warning page…লেখা আসবে। ‘I Understand the Risks’-এ ক্লিক করতে হবে। এরপর ‘Add Exception’-এ ক্লিক করে পরে ‘Confirm Security Exception’-এ ক্লিক করলে একটি পেজ ওপেন (অনলাইন ফরম) হবে।
আপনি ভোটার হয়ে থাকলে বা আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র করে থাকলে নিবন্ধনের জন্য এই ফরমটি পূরণ করতে হবে। জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর, জন্ম তারিখ, মোবাইল নম্বর (এই নম্বরে ভেরিফিকেশন কোড পাঠানো হবে), ইমেইল ঠিকানা, বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা দিয়ে পাসওয়ার্ড দিতে হবে জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর ১৩ সংখ্যার হলে অবশ্যই প্রথমে আপনার জন্ম সাল দিতে হবে। ধরা যাক, আপনার জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর ৩৯২৮৫০৬৯৫৫৬৫৫ ও জন্মসাল ১৯৮৫। আপনাকে পূরণ করতে হবে ১৯৮৫৩৯২৮৫০৬৯৫৫৬৫৫। ভোটার হওয়ার সময় দেওয়া তথ্য অনুসারে বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানার ঘরে বিভাগ, জেলা, উপজেলা/থানা নির্বাচন করতে হবে। পাসওয়ার্ড ৮ থেকে ১২ ডিজিটের হতে হবে এবং তাতে থাকতে হবে বড় হাতের অক্ষর ও সংখ্যা। যেমন- InfoPedia71
সব তথ্য দেওয়ার পর ফরমে দেখানো ক্যাপচা পূরণ করে ‘রেজিস্টার’ বাটনে ক্লিক করতে হবে। এ সময় মোবাইলে একটি অ্যাক্টিভেশন কোড পাঠানো হবে। কোড চাওয়া হলে তা দিয়ে ভেরিফাই করতে হবে। নিবন্ধন প্রক্রিয়া শেষ হলে আপনাকে লগ-ইন করতে বলা হবে।
হয়ে গেল নিবন্ধন
এবার জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর, জন্ম তারিখ, পাসওয়ার্ডের ও ক্যাপচার ঘর পূরণ করে ‘সামনে’ বাটনে ক্লিক করলে মোবাইলে একটি কোড পাঠানো হবে এবং একটি নতুন ফরম ওপেন হবে। তাতে জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর ও মোবাইলে পাঠানো নতুন অ্যাক্টিভেশন কোড দিয়ে লগ-ইন করতে হবে। সঠিকভাবে কোড প্রবেশ করার পর আপনার Account Active হয়ে যাবে। দুই মিনিটের মধ্যে মোবাইলে কোড না আসলে ‘পুনরায় কোড পাঠান’-এ ক্লিক করুন। লগ-ইন করতে পারেন নিচের লিংকে গিয়েও- https://services.nidw.gov.bd/login
এবার তথ্য সংশোধন
লগ-ইন করার পর আপনার পুরো নাম, এনআইডি নম্বর, জন্ম তারিখ, পিতা ও মাতার নাম, বৈবাহিক অবস্থা প্রভৃতি তথ্য দেখাবে। একই সঙ্গে আসবে তথ্য পরিবর্তন, ঠিকানা পরিবর্তন, ভোটার এলাকা স্থানান্তর, পুনর্মুদ্রণ, ছবি পরিবর্তন, আবেদনপত্রের হাল অবস্থা প্রভৃতি অপশন। এসব অপশন ব্যবহার করে বর্ণনার নিচের অংশে থাকা ‘কার্ডের তথ্য পরিবর্তন ফরমে’ ক্লিক করে তথ্য সংশোধন ও পরিবর্তন করা যাবে।
ভুল তথ্যসংবলিত জাতীয় পরিচয়পত্রের কারণে আপনি বিভিন্ন নাগরিক সেবা থেকে বঞ্চিত হতে পারেন। এ ছাড়া বাসস্থান পরিবর্তন বা অন্য কোনো কারণে ভোটার এলাকা পরিবর্তন বা সংশোধনের প্রয়োজন হতে পারে। জাতীয় পরিচয়পত্র পুনর্মুদ্রণেরও প্রয়োজন হতে পারে। চাহিদা অনুযায়ী অপশনে ক্লিক করে তথ্য হালনাগাদ করতে হবে। তথ্য পরিবর্তনের ফরমে তথ্য হালনাগাদ করে সেটির প্রিন্ট নিন। প্রিন্ট করা ফরমে স্বাক্ষর করে সেটির স্ক্যান কপি জমা দিন অনলাইনে। তথ্য পরিবর্তনের সপক্ষে অনলাইনে জমা দিতে হবে প্রয়োজনীয় দলিলের রঙিন স্ক্যান কপি।
জাতীয় পরিচয়পত্রের ছবি পরিবর্তন
‘ছবি পরিবর্তন’ অপশনে ক্লিক করার পর প্রথমে কম্বো বক্স থেকে জেলা ও উপজেলা নির্বাচন করতে হবে। ছবি তোলার জন্য স্ক্রিনে উপস্থাপিত ক্যালেন্ডার থেকে সবুজ রঙের তারিখগুলোর মধ্যে নির্বাচন করতে হবে আপনার সুবিধামতো তারিখ। আবেদনপত্রের বর্তমান অবস্থা জানা যাবে ‘আবেদনপত্রের হাল অবস্থা’ অংশে ক্লিক করে।
অনলাইনে ভোটার হতে চান?
ভোটার হিসেবে নিবন্ধিত না হয়ে থাকলে অনলাইনে আবেদন করতে পারেন। ভোটারের আবেদনের জন্য যেতে হবে নিচের লিংকে-https://services.nidw.gov.bd/newVoter
ভোটার তালিকা করার পরে ১৮ বছর বয়সের বেশি হওয়া, প্রবাসী বা বাদপড়া ভোটাররা এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নিবন্ধন করতে পারবেন। ইতিমধ্যে ভোটার হয়ে থাকলে আবার আবেদনের প্রয়োজন নেই। নিবন্ধিত ব্যক্তি আবার আবেদন করলে সেটি দণ্ডনীয় অপরাধ।
অনলাইনে ভোটার হতে শর্তগুলো ভালো করে পড়ে নিন এবং ‘আমি রাজি ও নিবন্ধন ফরম পূরণ করতে চাই’-এ ক্লিক করুন। নিবন্ধনের জন্য ধাপে ধাপে সব তথ্য পূরণ করতে হবে। নিজের পূর্ণ নাম ছাড়া সব তথ্য পূরণ করতে হবে বাংলায় ইউনিকোডে। সব ধাপ শেষ হওয়ার পর প্রিভিউয়ের মাধ্যমে আপনার দেওয়া তথ্য আবার যাচাই করে নিন। অনলাইনে পিডিএফ ফাইল তৈরি করে সেটি প্রিন্ট করে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ নিকটস্থ নির্বাচন অফিসে জমা দিন। তথ্য ও ঠিকানা যাচাইয়ের পর তৈরি করা হবে আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র। আপনার এনআইডি কার্ড সংগ্রহ করার সময় লাগবে কাগজপত্র জমার সময় দেওয়া রসিদ।
যা যা লাগবে
জাতীয় পরিচয়পত্রের নাম (বাংলা/ইংরেজি) এবং জন্ম তারিখ সংশোধনের জন্য লাগবে এসএসসির সনদপত্র, শিক্ষাগত যোগ্যতা এসএসসি না হলে এবং সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, আধা-স্বায়ত্তশাসিত কিংবা কোনো সংস্থায় চাকরিরত হলে চাকরি বই/মান্থলি পেমেন্ট অর্ডার (এমপিও); অন্যান্য ক্ষেত্রে জাতীয় পরিচয়পত্রধারীর পাসপোর্ট/জন্ম নিবন্ধন সনদ/ড্রাইভিং লাইসেন্স/ট্রেড লাইসেন্স/কাবিননামার সত্যায়িত অনুলিপি। ধর্ম পরিবর্তন বা অন্য কোনো কারণে নামের আমূল পরিবর্তনের ক্ষেত্রে এসব দলিল ছাড়াও লাগবে ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সম্পাদিত হলফনামা ও জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তির কপি।
বিয়ে বা বিয়ে বিচ্ছেদ বা অন্য কোনো কারণে কোনো মহিলা তার নামের সঙ্গে স্বামীর নামের অংশ (টাইটেল) সংযোজন বা বিয়োজন বা সংশোধন করতে চাইলে জমা দিতে হবে কাবিননামা/তালাকনামা/মৃত্যু সনদ/ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সম্পাদিত হলফনামা/বিয়ে বিচ্ছেদ ডিক্রির সত্যায়িত অনুলিপি।
মা বা বাবার নাম সংশোধনের ক্ষেত্রে লাগবে এসএসসি, এইচএসসির সনদপত্র (সনদে মা/বাবার নাম উল্লেখ থাকতে হবে) এবং পিতা, মাতা, ভাই ও বোনের জাতীয় পরিচয়পত্রের সত্যায়িত অনুলিপি। মা বা বাবার নামের আগে ‘মৃত’ সংযোজন বা বিয়োজন করতে লাগবে মৃত্যু সনদ বা তাদের জাতীয় পরিচয়পত্রের সত্যায়িত অনুলিপি এবং জীবিত থাকার সমর্থনে সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান/পৌর মেয়র/কাউন্সিলরের প্রত্যয়নপত্র। রক্তের গ্রুপ সংযোজন বা সংশোধনের ক্ষেত্রে লাগবে ডাক্তারি সনদ। স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানা বা ভোটার এলাকা পরিবর্তনের (বাসা/হোল্ডিং/গ্রাম/রাস্তা/ডাকঘর) ক্ষেত্রে লাগবে ঠিকানার সপক্ষে বাড়ির দলিল/টেলিফোন, গ্যাস বা পানির বিল/বাড়িভাড়ার চুক্তিপত্র/বাড়িভাড়া রসিদের সত্যায়িত অনুলিপি। জাতীয় পরিচয়পত্র পুনর্মুদ্রণের ক্ষেত্রে লাগবে সংশ্লিষ্ট থানায় করা সাধারণ ডায়েরির (জিডি) কপি ও সদ্য তোলা ছবি।
দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রয়োজনে সরেজমিন তদন্ত করবেন। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সত্যায়ন করতে পারবেন সংসদ সদস্য, স্থানীয় সরকারের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি, গেজেটেড সরকারি কর্মকর্তা এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান।
তাহলে আজকের মত বিদয়ায়, সবাই ভাল থাকুন, সুস্থ্য থাকুন, আল্লাহ হাফেজ।
কেমন হল জানাবেন অবশ্যই।

কখনো কি মনে প্রশ্ন জেগেছে সমগ্র ইন্টারনেটের মালিক কে? মনে প্রশ্ন জাগুক বা না জাগুক, আজ প্রশ্নের উত্তর নিয়েই সব আয়োজন।


-------------------------- بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ --------------------------
সুপ্রিয় টেকটিউনস কমিউনিটি সবাইকে আমার সালাম এবং শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি আমার আজকের টিউন।
চলুন কল্পনার রাজ্য থেকে কিছুক্ষণ ঘুরে আসি। আস্তে করে চোখ বন্ধ করুন, মনে করুন একটি বিশাল হল ঘরে আপনি বসে আছেন। ঘর ভর্তি বিশ্বের সব দেশের মানুষ, তারা নিজেরা নিজেদের মাতৃভাষায় যে যার মতো কথা বলে চলেছে। ঘরময় একট বিশৃঙ্খলা বিরাজ করছে, কেউ কারো কথা বুঝতে পারছে না। এখন আপনি নিশ্চয় টেবিলে একটা থাপ্পড় লাগিয়ে বলবেন থামুন আপনারা। এভাবে কথা বললে কেউ কি কারো কথা বুঝতে পারবে? তারপর আপনি তাদের সাথে যোগাযোগের জন্য একটা স্ট্যান্ডার্ড নির্ধারন করে দিলেন এবং কিছু নিয়ম প্রণয়ন করে দিলেন যাতে প্রত্যেকে প্রত্যেকের সাথে যোগাযোগ করতে পারে। ইন্টারনেট হলো ঠিক এমন একটা ব্যবস্থা যার যাহায্যে ভিন্ন ভিন্ন দেশের ভিন্ন ভিন্ন কম্পিউটার পরস্পরের সাথে একটা নিয়ম রক্ষা করে যোগাযোগ করতে পারে। অবশ্য সুনির্দিষ্ট নীতিমালা না মানলে এটা কখনোই সম্ভব হবে না।

ইন্টারনেট (Internet)

ইন্টারনেট হলো বিভিন্ন নেটওয়ার্কের একটা সমন্বিত সংযোগ। আগেই বলেছি এই সংযোগগুলো পরিচালিত হয় কিছু সুনির্দিষ্ট নিয়ম নীতির মাধ্যমে যাকে বলা হয় Protocols. এই নিয়মগুলোই সমস্ত নেটওয়ার্কের মধ্যে সহজভাবে যোগাযোগ রক্ষা করে চলছে। তবে এ সবকিছুই নির্ভর করে বিশাল রাউটার পরিকাঠামো, নেটয়ার্ক এক্সেস পয়েন্ট (Network Access Points (NAP) এবং কম্পিউটার সিস্টেমের উপর।
তারপর নেটওয়ার্ক সিগনাল প্রেরণ করার জন্য প্রয়োজন কৃত্রিম উপগ্রহ (স্যাটেলাইট), হাজার হাজার মাইল বিস্তৃত কেবল এবং সহস্র ওয়্যারলেস রাউটার। এতো কিছুর সমন্বয়ে যে বৈশ্বিক সিস্টেম গঠিত হয়েছে তা কোন কিছুর মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকতে পারেনি, অতিক্রম করে চলেছে দেশের পর দেশ, সাগর মহাসাগর এবং পাহাড় পর্বত। কোন দেশের সীমানা আটকে রাখতে পারেনি এই চলমান প্রযুক্তির আশির্বাদকে। দিনের পর দিনে এটি সংযুক্ত করছে শত নেটওয়ার্ককে। এ যেন মোবাইলে সাপের গেমটার মতো, খাবার খাচ্ছে আর বড় হচ্ছে। বিশ্বের প্রায় প্রত্যেকটি দেশে এখন ইন্টারনেট সংযোগ আছে।বর্তমান বিশ্বের সবাই এখন একটি নিদিষ্ট নেটওয়ার্কের আওতাভুক্ত হয়ে গেছে। এখন প্রশ্ন হলো এই বিশাল নেটওয়ার্ক নিয়ন্ত্রন করছে কে? এটার উত্তর জানাতেই টিউনের বাকি অংশে আপনাদের স্বাগতম।

সমগ্র ইন্টারনেটের মালিক কে?

অনেকগুলো ছোট ছোট সিস্টেম মিলে যে দৈত্যাকার ইন্টারনেট তৈরী হলো, তাকে আমরা একটা বিশেষ সত্ত্বা বলতেই পারি। এখন এই একটা সত্ত্বার সত্ত্ব কার হবে? এটা কি একজন নিয়ন্ত্রন করে নাকি অনেকেই বা বিশেষ কোন গোষ্ঠী? আপনার মন কি বলে? এটাকি সত্যিই কোন বিশেষ একজনের দ্বারা নিয়ন্ত্রন করা সম্ভব? যাহোক, হয়তো অনেকেই প্রশ্ন দেখে দ্বিধান্বিত হয়ে গেছেন, চলুন দুইটা অপশন দেই। দেখি আপনার ধারনার সাথে মিলে কিনা।
সমগ্র ইন্টারনেটের মালিক-
  • ক. কেউ না
  • খ. অনেক মানুষ
যদি আপনি মনে করেন ইন্টারনেট হলো একটি সম্মিলিত কিন্তু একক সত্ত্বা এবং কারও এটার উপর মালিকানা নেই। তাহলে নিশ্চয় এর জন্য কোন নির্দিষ্ট সংগঠন থাকবে যা এর গঠন এবং কাজ নিয়ন্ত্রন করে কিন্তু এই সমগ্র ব্যবস্থার উপর তাদের কোন মালিকানা নেই। কোন দেশের সরকার এর উপর মালিকানা প্রতিষ্ঠা করতে পারেনা। অথবা ভাবতে পারেন হাজার হাজার মানুষ এটার মালিক। ইন্টারনেটকে যদি অনেকগুলো পার্টের সমষ্টি হিসাবে কল্পনা করেন তাহলে অনেক মানুষ একেকটি পার্টের মালিক যারা এর উন্নয়নে কাজ করছে। আপনার ভাবনাগুলো যাইহোক, আপনি ধারেকাছে গেলেও আসল ঘটনার সাথে সামান্য পার্থক্য আছে। চলুন জেনে নেই কি সেই পার্থক্য।

ইন্টারনেটের সত্যিকারের মালিক

যে ফিজিক্যাল নেটওয়ার্ক বিভিন্ন কম্পিউটারের মধ্যে ইন্টারনেট ট্রাফিক পরিবহন করে তাকে বলা হয় ইন্টারনেটের মেরুদণ্ড (Internet Backbone). আগেকার দিনের ইন্টারনেট সিস্টেমেARPANET ইন্টারনেটের মেরুদন্ড বা Backbone হিসাবে কাজ করেছে। কিন্তু বর্তমানে বিভিন্ন কোম্পানি যারা রাউটার এবং ক্যাবলের যোগানের মাধ্যমে ইন্টারনেট মেরুদন্ড হিসাবে কাজ করছে। এই কোম্পানি গুলোকেই বলা হয় ইন্টারনেট সেবা দাতা বা আইএসপি (Internet Service Provider)। এখন কোন দেশ বা যদি কেউ নিজের প্রয়োজনে ইন্টারনেট এক্সেস পেতে চায় তাহলে তাকে অবশ্যই এই আইএসপির সাথে যোগাযোগ করতে হবে। বিশ্বের সে সকল আইএসপি বা ইন্টারনেট সেবা দাতা প্রতিষ্ঠান বিখ্যাত তারা হলেন- UUNET, Level 3, Verizon, AT&T, Qwest, Sprint, Sprint, IBMইত্যাদি।
বড় বড় আইএসপি গুলো থেকে আবার ছোট ছোট আইএসপি সৃষ্টি হয়েছে। যারা আমাদেরকে সেবা দিয়ে থাকে। এখানে মনে রাখা প্রয়োজন, যে সিস্টেম আমাদের কম্পিউটার টু কম্পিউটার ডাটা এক্সচেঞ্জ করে থাকে তাকে বলা হয় Internet Exchange Points (IXP)। বিভিন্ন কোম্পানি এবং অলাভজনক কিছু প্রতিষ্ঠান এটা নিয়ন্ত্রন করে থাকে। এখন কথা হলো প্রত্যেকটা আলাদা আলাদা আইএসপির আলাদা ইন্টারনেট থাকে। এখন আপনি একক ভাবে যদি কোন কম্পিউটার দিয়ে সেই ইন্টারনেটের সাথে যুক্ত হতে হোন তাহলে সেই ইন্টারনেটের মালিক আপনিও। মানে হলো, আপনি নিজেও ইন্টারনেটের একটা অংশের মালিক। কারন সমগ্র ইন্টারনেটের কোন মালিকানা হয় না। যদিও অনেক প্রতিষ্ঠান বা দেশের সরকার নিজেদের ইন্টারনেট ব্যবস্থা গড়ে তুলতে পারে যাকে বলা হয় লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্ক বা LAN (Local Area Network)। যাহোক, মুদ্দা কথা হলো আপনি এবং আমি আমরা সকলেই একেক জন একেকটা ইন্টারনেট খণ্ডের মালিক। নিজেকে তো মালিক বলে দাবী করে ফেলেছেন, এখন কি মনে প্রশ্ন আসছে না যে এই জিনিসের দায়িত্ব আপনি কতোটা নিয়েছেন? আপনি যদি এর দায়িত্ব না নিয়ে থাকেন তাহলে এই সব কিছুর জন্য কে দায়িত্ব নিবে?

সবকিছুর জন্য তাহলে দায়ী কে?

মানুষের স্বভাব হলো উপরে উপরে অনেক কথা বললেও কাজের বেলায় দায়িত্ব নিতে পারে না। যেভাবে আপনাকে ইন্টারনেটের মালিক বানিয়ে খুশি করে দিলাম সেভাবে যদি আপনার উপর ইন্টারনেটের দায়িত্ব দিয়ে দিই তাহলে আপনার দায়িত্ব নেওয়া তো দুরের কথা আমার দফা রফা করে দিবেন। যাহোক, আমি আগেই বলেছিলাম যে ইন্টারনেট ব্যবস্থাটা চলে কিছু নিয়মের উপর যাকে আমরা প্রটোকলস (Protocols) বলি। সেই প্রটোকলগুলো মেনেই একটি কম্পিউটার ইন্টারনেট নেটওয়ার্কের সাহায্যে অন্য কম্পিউটার তথ্য প্রদান করে। প্রটোকল না মেনে কোন কম্পিউটার তথ্য প্রদান করতে পারেনা। এখন যদি কোন প্রটোকল না থাকে তাহলে আপনাকে আগে নিশ্চয়তা দিতে হবে যে আপনি অন্য কম্পিউটারে যে তথ্য প্রদান করছেন তার জন্য আপনাদের বোঝাপড়া আছে। এবং আপনার পাঠানো তথ্য সঠিক গন্তব্যেই পৌছাতে পারবে।
এখন কথা হলো ইন্টারনেটের যে হারে উন্নয়ন হচ্ছে তাতে বিংশ শতাব্দীর প্রটোকলের সাথে একবিংশ শতাব্দীর প্রটোকল বা আগের বছরের সাথে পরের বছরের প্রটোকল একই রকম থাকবে এটা ভাবা বোকামী। ইন্টারনেটের উন্নতির সাথে এই প্রটোকল গুলোরও উন্নতি প্রয়োজন। তার মানে দাড়ালো, কাউকে না কাউকে এই নিয়মগুলো মানে প্রটোকল পরিবর্তন করতে হবে। আপনাদের আর প্রশ্ন করবো না, সমগ্র ইন্টারনেট কাঠামো এবং প্রটোকল ঠিক করে দেওয়ার জন্য রয়েছে অনেকগুলো সংগঠন যারা নিষ্ঠার সাথে তাদের দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। চলুন তাদের সম্পর্কে কিছু জেনে নিই।
  • The Internet Society: একটি অলাভজনক সংগঠন যারা ইন্টারনেট স্ট্যান্ডার্ড এবং পলিসি নির্ধারন এবং উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে।
  • The Internet Engineering Task Force (IETF): এটি একটি আন্তর্জাতিক সংগঠন যাদের রয়েছে ওপেন মেম্বারশীপ পলিসি এবং এরা বিভিন্ন গ্রুপ ভিত্তিক কাজ করে থাকে। ইন্টারনেটের বিভিন্ন বিষয়কে এরা আলাদা আলাদা ভাগ করে প্রত্যেক ভাগের জন্য দক্ষ জনশক্তিকে কাজে লাগায় এ সংগঠনটি। বর্তমান ইন্টারনেটের এই স্থিতিশীলতা এই সংগঠনের অনবদ্য অবদান।
  • The Internet Architecture Board (IAB): এরা সাধারনত ইন্টারনেট প্রটোকল প্রণয়ন এবং স্ট্যান্ডার্ড নির্ধারনে কাজ করে থাকে।
  • The Internet Corporation for Assigned Names and Numbers (ICANN): এই সংগঠনটি ব্যক্তিগত কিন্তু অলাভজনক একটি প্রতিষ্ঠান যাদের কাজ হলো এটা নিশ্চিত করা যে প্রত্যেকটা ডোমেইন নেইম সিস্টেমের (Domain Name System (DNS) সাথে সঠিক আইপি এড্রেসটি লিংক করা আছে কি না।
এই সংগঠনগুলো ইন্টারনেটের জন্য সবকিছু করলেও এরা কখনো ইন্টারনেটের মালিকানা দাবি করতে পারেনা। আসল কথা হলো কেন্দ্রিয়ভাবে ইন্টারনেটের কোন মালিকানা নেই। অনেকেই এটার উন্নয়নে কাজ করলেও এখনো পর্যন্ত কেউ এটার মালিকানা দাবি করতে পারেনি।


whats app এর ডিলিট ফাইল রিকভার করুন পিসি দিয়ে ।


কেমন আসেন সবই? আবার ও আসলাম আপনাদের মাঝে একটা টিক্স নিয়ে।
অনেকেরই whats app এর ফাইল ডিলিট হয়ে যাই।
আজ আপনাদের PC এর একটা Software দিব।
এই সফটওয়্যার দিয়ে আপনারা আপনাদের Android, Windows, iOs এর ফাইল রিকভার করতে পারবেন।
আসলে এই সফটওয়্যার এর ব্যবহার একদম সহজ তাই বিস্তারিত বললাম না।
নিচে কিছু Screenshot দিলাম


সফটওয়্যার টা নিচের থেকে ডাউনলোড দিন।
Download Now
কোন সমস্যা হলে কমেন্ট করুন।
ভাল থাকবেন এর আমাদের সাথে থাকবেন।

মঙ্গলবার, ৮ অক্টোবর, ২০১৩

ফেসবুক পেজ ম্যানেজের জন্য একটি অ্যাপস।

ফেসবুকের কোনো পেজের অ্যাডমিন মানেই সব সময় সেই পেজের সঙ্গে যুক্ত থাকা। কেউ মেসেজ দিলেন বা কমেন্ট করলেন, তাতে সাড়া দিতে দেরি করা চলবে না। এ জন্য স্মার্টফোনে নামিয়ে নিতে পারেন ফেসবুক পেজেস ম্যানেজার অ্যাপলিকেশনটি। এই অ্যাপস এর মাধ্যমে যা যা করা যাবে।

চলুন তৈরি করি নিজের একটি মজার ইমেইল আইডি একদম ফ্রী তে

আপনি কি একটু ভিন্ন রকমের মেইল আইডি খুলতে চান? যেমন ধরুনঃsomeone@student.com অথবা someone@engineer.com অথবাsomeone@usa.com
এরকম মেইল আইডি খুলার দুই ধরনের উপায় আছে।

Welcome Screen এ যুক্ত করুন নিজস্ব মেসেজ

দরকারে হোক আর অদরকারে হউক আপনি ওয়েলকাম screen এর আগে হ্চ্ছমত যেকোন মেসেজ যুক্ত করতে পারেন ।নীচের পদ্ধতিটি অনুসরণ করুন আর যুক্ত করুন আপনার যেকোন মেসেজ

নোটপ্যাড যাদু – পর্ব (৫)

আজকে আপনাদের যে নোটপ্যাড ট্রিকসটি শেখাবো তা দিয়ে আপনি খুব সহজে একটি কম্পিউটারকে crash করতে পারবেন। যদি কাজ না হয় তবে আমাকে জানাতে পারেন আর যদি কাজ হয় তাহলে তো আপনার ব্যাপার আপনি কি করবেন।

নোটপ্যাড দিয়ে crash করুন কম্পিউটার

নোটপ্যাড যাদু – পর্ব (৪)

নোটপ্যাড দিয়ে লক করুন আপনার পিসি

  • ১. নোট প্যাড ওপেন করুন।
  • ২. নিম্নলিখিত লাইন কপি করুন।
  • নোট প্যাড যাদু – পর্ব (৩)


    আজ আমি আপনাদের নোটপ্যাডে লেখা লুকানো ফাইল (hidden text files) তৈরি করা শিখাবো।আপনি কোন third-party ইউটিলিটি ব্যবহার না করে সাধারন লেখা ডেটা গোপন করতে এই সহজ ট্রিকটি ব্যবহার করতে পারেন।

    লেখা লুকানো ফাইল (hidden text files)

    Review http://www.sohagathia.blogspot.com/ on alexa.com